চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন নেইমার। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে গোলও করেছেন। তারপর মাঠে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ভাইয়ের মাঠে এমন দৃশ্য দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বোন রাফায়েলা বেকরান। ফলে রাফায়েলাকে নিয়েও শুরু হয়েছে হইচই। ভাইয়ের সঙ্গে বোনও শিরোনামে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নেইমার ও তার বোন রাফায়েলার অতিঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভাইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।
নেইমার তার নিজের বোনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে ওইসব সংবাদমাধ্যমে। ফলে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
‘সাইডওমেক্স এন্টারটেনমেন্ট’ নামের একটি অনলাইন মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নেইমার ‘ইনসেস্ট’ (রক্তসম্পর্কের মধ্যে যৌনতা)।
তাদের সংবাদে বলা হয়েছে, নেইমার নিজের গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে খোলাখুলি থাকলেও বোনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে চরম গোপনীয়তা পালন করেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নিজের বোনের ভীষণই ঘনিষ্ঠ। বোন রাফায়েলার জন্মদিন ১১ মার্চ। নেইমার শেষ তিন বছরে বোনের জন্মদিনে উপস্থিত থাকার জন্য মিথ্যা কথা বলে দেশে ফিরে আসেন।
চলতি বছরে বোনের জন্মদিন আসার আগেই চোটের কারণ দেখিয়ে তিনি সরাসরি ব্রাজিলে চলে আসেন।
ওই সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের খেলা ছিল পিএসজির। প্রথম পর্বে পিএসজি ১-৩ গোলে হেরে বসেছিল। দ্বিতীয় পর্বে গোলের ঘাটতি মিটিয়ে পিএসজি রিয়াল বধ করে পরের পর্বে অগ্রসর হতে পারবে, তেমন কেউই আশা করেনি। চোট থাকলেও তিনি দলের সঙ্গে থাকতে পারতেন। তা না করে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি ব্রাজিল পাড়ি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে ফরাসি মিডিয়ায় বেশ লেখালেখি হয়েছিল।
প্রশ্ন উঠেছিল, নেইমার সরাসরি বোনের জন্মদিনের কথা ক্লাবকে জানিয়ে দেশে ফিরতেই পারতেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বোনের জন্মদিন গোপন করে ঘরে ফেরাতেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন উঠে আসছে।
পাশাপাশি রয়েছে ট্যাটু কাণ্ডও। নেইমারের ডান হাতে রয়েছে বোন রাফায়েলার ট্যাটু। ২০১৫ সালে সেই ট্যাটু করিয়েছিলেন নেইমার। সেই ছবি আবার ঘটা করে বোনের সঙ্গে তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
এছাড়া আপত্তিকর প্রশ্ন ওঠার পেছনে রয়েছে রাফায়েলার ইনস্টাগ্রামে নেইমারের সঙ্গে একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবি। পালটা বেকরান আবার নেইমারের চোখের ছবি ট্যাটু করেছিলেন নিজের পিঠে। যা মোটেই স্বাভাবিক নয় বলে দাবি আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমের।
খবরে দাবি করা হয়েছে, নেইমারের বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনেও বোনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক! সেই যুক্তিতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে নিকটাত্মীয়দের মধ্যে যৌন সংসর্গ অপরাধ নয়। সেই কারণেই অন্যান্য বড় ক্লাবের অফার থাকলেও নেইমার বেছে নিয়েছিলেন পিএসজিকে।
বারবার এমন সন্দেহ প্রচারমাধ্যমে উঠলেও নেমার কিংবা বোন রাফায়েলা বেকরান— কেউ এ সম্পর্কের ব্যাপারে কোনো রকম মন্তব্য করেননি।